নেত্রকোণ া জেলার মোট আয়তন ২৮১০ . ৪০ বর্গ কিলোমিটার । যার উত্তর ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গার ো পাহাড় , দক্ষিণ ে কিশোরগঞ্জ জেল া...
নেত্রকোণা জেলার মোট আয়তন ২৮১০.৪০ বর্গ কিলোমিটার। যার উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড়, দক্ষিণে কিশোরগঞ্জ জেলা, পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলা এবং পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলা দ্বারা পরিবেষ্টিত। ব্রহ্মপুত্র নদীর পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত নেত্রকোণা জেলার ইতিহাস প্রাচীন ঐতিহ্যে টই-টুম্বুর। প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় প্রেম-ভালবাসার ধারার বিবরণীর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ সাহিত্যের আধার এ অঞ্চলেই শুরু। মানবীয় অনুভূতিকে প্রাধান্য দান, শাস্ত্র ও ধর্ম নিষ্ঠার পরিবর্তে ব্যাক্তি অভিরুচিকে মূল্যায়ণ এবং সাম্প্রদায়িক নিরপেক্ষ জীবন জীবিকা এ অঞ্চলের মানব প্রানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ইতিহাস রচয়িতা ভূতাত্ত্বিকগণ এ অঞ্চলের ভূ-তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করে ভূ-ভাগ সৃষ্টি সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। বাংলার সামাজিক ইতিহাস পুস্তকে উদ্বৃত আছে। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে বাংলাদেশ পল্লবিত হয়েছিল সমুদ্রের জলরাশি দ্বারা, আবার জলরাশি যখন গেছে তখন রেখে গেছে পলিমাটি। গারো পাহাড়ের পাদদেশ লেহন করে এঁকেবেঁকে কংশ, সুমেশ্বরী নদীসহ অন্যান্য শাখা নদী নিয়ে বর্তমান নেত্রকোণা জেলার জলধারায় পলিযুক্ত মাটি হাওড় ও খন্ড খন্ড জলধারায় উর্বর হয়ে আছে এ জেলা। জেলার উঁচু উত্তরাংশ দক্ষিণে ক্রমে নীচু হয়ে সমতল ভূ-ভাগে মিশেছে। সমগ্র জেলাই উর্বর ভূমি দিয়ে গঠিত। সেই উর্বর ভূমিতে বসে ঢেউয়ের মেলা। সোনালী ক্ষেত ও হাওড়ের জলের ঢেউয়ে নেচে উঠে এলাকার কৃষকের প্রাণ। তাইতো এ জেলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য কৃষি। এখানে ধান শালিক, ডাহুক, কুড়াসহ নানান রং-বেরঙ্গের পাখির বসে মেলা। এখানে ভোরে পাখি ডাকে নতুন বৌ-এর ঘুম ভাঙ্গে, প্রকৃতি হয় সরব। এ জেলা চীনা মাটি, হাওড় ও বিখ্যাত বালিশ মিষ্টির জন্য নেত্রকোণা বিখ্যাত।
নাটরকোণা থেকে নেএকোণা
হিমালয়ের পাদদেশে গাঁরো পাহাড়ের কন্যা নাটোরকোণা।নাটরকোণা থেকে নেএকোণা।গারো পাহাড়ের পাদদেশে কংশ নদীর তীঁরে খরস্রোতা ঢুপিখালি খালের বাম তীরে সুজলা-সুফলা উর্বর ভূমি নাটোরকোনা।কংস নদীর অববাহিকায় সুমেস্বরীর করাল গ্রাসের পলি ও বালির সংমিশ্রনে এর ভূমি গঠিত।১৮৮৫ সালে সিপাহি বিদ্রোহের পর এদেশে ইংরেজ বেনিয়ারা যখণ দিশেহারা তখন লেটিরকান্দার পাগলদের বিদ্রোহ চরম আকার ধারন করে। তখন লতিফ শাহ্ নামক একজন ধর্মপ্রান, আধ্যাতিক জ্ঞানের অধিকারী,পুরুষ নাটোরকোনা গ্রামে পাগল পন্থিদের সমন্বিত করে সংগ্রাম গড়ে তুলেন।বর্তমান লতিফ শাহ্ মাজার এখানে অবস্থিত।দূরদর্শী ইংরেজ বেনিয়া পাগলদের বিদ্রোহ জন্য নাটরকোনাকে চিন্হিত করে।তৎকালীন জমিদারদের চক্রান্তে কালীগঞ্জ নামক স্থানে নাটোরকোণা নাম বিকৃত করে খরস্রোতা ঢুপিখালি খালের পরিবর্তে মগরা নদীর তীরে নেত্রকোণা শহর স্থাপন করা হয়। পাগল শাহ্ শখাহের পুত্র পবিত্র ভূমি নাটোরকোণায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আধ্যাত্বিক ঞ্জানের অধিকারী, আত্মসংযমী, সংসারত্যাগী অবিলাসী। সংস্কৃতিমনা পীর এ কামেল আব্দুল আলী খান।এখন প্রতি বছর ১৭ই মাঘ তার আসেকান ও বক্তবৃন্দরা এখানে এরস ও প্রাণের শ্রদ্ধা নিবেদন করে। শাহ্ সুলতান কমর উদ্দীনরুমীর পুত পবিত্র ভূমি নেত্রকোণা মহুয়া-মলুয়ার দেশ নামে খ্যাত।এর গহর বাদশা, নহর বাইদ্যা, কাঞ্চন মালা , কমল রাণীর কিস্যা কে না জানে?
COMMENTS