বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব HTML clipboard কমরেড মনি সিংহ বিখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা জন্মঃ ২৮ জুন ১৯...
কমরেড মনি সিংহ বিখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা জন্মঃ ২৮ জুন ১৯০১
| বিখ্যাত কমিউনিষ্ট নেতা কমরেড মনি সিংহের জন্ম নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার সুসং জমিদার পরিবারে ১৯০১ সনে মাত্র ১৩ বছর বয়সে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রনের জন্যে ‘অনুশীলন আন্দোলন’ এ যোগ দেন। তার পর ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির জনক কমরেড় মুজফফর আহমদের সংস্পশে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন । বৃটিশ ও পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠির বিরুদ্ধে আজীবন লড়াই করেছেন। বৃটিশ,পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এই তিন আমলেই দীর্ঘ দিন কারা ভোগ করেছেন। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘জীবন সংগ্রাম’ |
নির্মলেন্দু গুন
কবি জন্মঃ ১৯৪৫ সালে ২১ জুন বাংলা ১৩৫২ সালের ৭ আষাঢ় জীবিত
| নির্মলেন্দু গুন একজন অত্যমত্ম জনপ্রিয় প্রথম সারির কবি। স্বদেশের সীমানা অতিক্রম করেছে তাঁর জনপ্রিয়তা অনেক আগেই। জন্ম ১৯৪৫ সালে ২১ জুন বাংলা ১৩৫২ সালের ৭ আষাঢ় নেত্রকোণঅ জেলার বারহাট্টা উপজেলার কাশবন গ্রামে। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে গ্রামে। দুই যুগেরও বেশী সময় ধরে তিনি কবিতা লিছেছেন। মধ্যবিত্ত বলয়ে থেকেই তিনি কাব্য চর্চা শুরম্ন করেছেন। তিনি অত্যমত্ম সহব , সরল ও নিরহংকারী। ৬০ এর দশক ছিল তাঁর জীবনে খুবই ঘটনা বহুল। ‘‘হুলিয়ার’’ মত কবিতা লিখে আবির্ভূত হলেন কাবতার জগতে। ‘হুলিয়া’ তার কবি জীবনের ট্রেডমার্ক। কবি গুন শোষক শ্রেণীর বিরম্নদ্ধের একজন কবি। তিনি খাঁটি রোমান্টিক কবি নন। কবি নির্মলেন্দুগুন তাঁর কবিতায় দেশের কথা, দেশের মানুষের কথা, শরীর ও প্রেমের কথা, সমাজের অসংগতির কথা বলেছেন। ‘‘অনমত্ম বরফ বীথির’’ মত কবিতা লিখেছেন এবং মৃত্যুর পর আগুনে না পুড়িয়ে মাটি খুঁড়ে কবর না দিয়ে জলে ভাসিয়ে দেবার কথা বলেছেন। আমবা চাইব তিনি দেশ, দেশের মাটি মানুষের কথা বেশী বেশী লিখুন। গুনের ১ম কাব্য গ্রন্থ প্রেমাংশুর রক্ত চাই, তার গ্রন্থের সংখ্যা ৯০ টি। বাংলা একাডেমী প্রকাশ করেছে একমাত্র নির্বাচিত কবিতার সংকলন সিলেকটেড ‘পয়েমস অব নির্মলেন্দু গুন’। |
ডঃ হুমায়ুন আহমদ জনপ্রিয় উপন্যাসিক নাট্যকার ও চলচিত্র পরিচালক জন্মঃ ১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ খ্রিঃ জীবিত গ্রাম-কুতুবপুর, রোয়াইলবাড়ী, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা। | জন্ম-১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ খ্রিঃ। মাতা-আয়েশা আক্তার খাতুন, পিতা-ফয়জুর রহমান আহমেদ। বাবা পুলিশ অফিসার ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনী গুলি করে হত্যা করে। ডঃ হুমায়ুন আহমদ ১৯৬৫ সালে মাধ্যমিক, ১৯৬৭ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে অনার্সসহ ১৯৭২ সনে এম.এস.সি পাশ করেন। ১৯৮২ সনে পি.এইচ.ডি ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের একজন শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীকালে শিক্ষকতার পেশা ছেড়ে দিয়ে সার্বক্ষণিকভাবে লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ইতোমধ্যে তাঁর লেখা বহু নাটক, উপন্যাস ও ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে নন্দিত নরকে , শঙ্খনীল কারাগার, কোথাও কেউ নেই, অনন্ত নক্ষত্র বীথি, ময়ূরাক্ষী, একজন মিসির আলী, বৃষ্টি বিলাস, জনম জনম, নীল মানুষ উলেখযোগ্য। তবে উপন্যাস নন্দিত নরকে লিখেই তিনি উপন্যাসিক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। এরপর আর তাকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। শুধু লিখেই যাচ্ছেন। তাঁর উলেখযোগ্য নাটক হচ্ছে অয়োময়, এইসব দিনরাত্রি, মহাপুরুষ ইত্যাদি। তিনি একজন সফল চলচিত্র পরিচালক হিসেবে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন। লেখালেখি ও সিনেমা তৈরীর জন্য তিনি ইতোমধ্যে বহু পুরস্কার ও পদক লাভ করেছেন। বাংলাদেশ লেখক শিবির পুরস্কার ১৯৭৩, বাংলা একাডেমী পুরস্কার ১৯৮১, মাইকেল মধুসুদন পুরস্কার ১৯৮৭, হুমায়ুন কবীর স্মৃতি পুরস্কার ১৯৯০, জাতীয় পুরস্কার ১৯৯৪, একুশে পদক ১৯৯৫। এছাড়া তিনি জয়নুল আবেদীন স্বর্নপদক, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্নপদক ইত্যাদি অন্যতম। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তার জনপ্রিয় অসংখ্য নাটক ও সিনেমা প্রচারিত হচ্ছে। তিনি পাঠক মহলের গন্ডি ছাড়িয়ে আজ দেশের সকল সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত ও সমাদৃত। |
ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল তথ্য প্রযুক্তি বিজ্ঞানী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও জনপ্রিয় শিশু সাহিত্যক
জন্মঃ ১৯৫২ খ্রিঃ ২৩ ডিসেম্বর জীবিত গ্রাম-কুতুবপুর, রোয়াইলবাড়ী, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা।
| জনাব জাফর ইকবাল ১৯৫২ খ্রিঃ ২৩ ডিসেম্বর কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাতা-আয়েশা খাতুন, পিতা-ফয়জুর রহমান আহমেদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে এস.এস.সি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন থেকে পি.এইচ.ডি এবং ক্যালটেক ইউনিভার্সিটি থেকে পোষ্ট ডক্টোরাল ডিগ্রী লাভ করেন। ফাইবার অপটিকসের উপর বিদেশে বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। তিনি শুধু একজন বিজ্ঞানী নহেন। তিনি একজন সাহিত্যিক গল্পকার এবং সৃজনশীল লেখক। সৃজনশীল লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্র পত্রিকার গবেষনাধর্মী প্রবন্ধ ও কলাম লিখে থাকেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিজ্ঞান ও গণিত চর্চায় উদ্বুদ্ধকরনে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন। সাহিত্যের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৫ সালে বাংলা একাডেমী তাঁকে সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করেছে। |
বিচারপতি সাহাব উদ্দিন আহমেদ
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি জন্মঃ ১ ফেব্রুয়ারী ১৯৩০
| গ্রাম- পেমই, পাইকুড়া, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা। তিনি বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিছিলেন। তা ছাড়া তিনি বাংলাদেশের প্রথম তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করেন। পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের সদস্য হিসাবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। গোপালগঞ্জের এসডিও সহ প্রশাসনের উচ্চপদে দায়িত্ব পালন করে জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগদান করেন। কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলার জেলা ও দায়রা জজ হিসাবে দায়িত্ব পালন করে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক পদে অধিষ্টিত হন। তাঁর বাড়ী নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায়। |
মোস্তফা জববার কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ
জন্মঃ জীবিত | বাংলা কী- বোর্ড বিজয় এর উদ্ভাবক বিশিষ্ট কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ মোস্তফা জববারের বাড়ী খালিয়াজুড়ি উপজেলায়। তিনি বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির বর্তমান সভাপতি। ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নামক একটি মূল্যবান গ্রনবথ রচনা করেছেন। |
অভিনয় শিল্পী ও রাজনীতিবিদ
| ভারতীয় চলচিত্রের মেঘা ষ্টার অমিতাব বচ্চনের স্ত্রী চলচিত্র অভিনেত্রী জয়া বচ্চনের পৈত্রিক বাড়ী নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলায়। দেশ বিভাগের পুবেৃই তার বাবা কোলকাতায় চলে যান। |
বারী সিদ্দিকী লোক সঙ্গীত শিল্পী জন্মঃ জীবিত | লোক সঙ্গীতের অত্যন্ত জনপ্রিয় শিল্পী বারী সিদ্দিকী’র জন্ম নেত্রকোনার সাতপাই। |
ডঃ এম ইন্নাছ আলী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও জাতীয় অধ্যাপক জন্মঃ ১৯১৬ সালে ১ সেপ্টেম্বর মৃত্যুঃ ২০১০ সনে ৩রা মে
| ডঃ এম ইন্নাছ আলী ১৯১৬ সালে ১ সেপ্টেম্বর নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার বড়ি বিক্রমশ্রী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নের ক্ষেত্রে অতুলনীয় অবদান রেখে গেছেন।১৯৪০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৪৭ সালে যুক্তরাস্ট্রের ম্যাককি রেডিও ষ্টেশনে রিসার্চ প্রকৌশলী ছিলেন। ১৯৪৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন। ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত ঐ বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৮ ও ১৯৬৩ সালে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের পরমাণু শক্তি কমিশনের সম্মেলনে পাকিস্তান দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৬৪ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ছিলেন। ১৯৬৫ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত আণবিক শক্তি কমিশনের সম্মেলনে পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।১৯৭২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৭৩ সালে পরমাণু শক্তি কমিশন গঠিত হলে এর চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ঐ বছর তিনি বিম্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য হন। ১৯৭৯-১৯৮২ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবে বাদ্শা আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরমাণু শক্তি বিভাগে অধ্যাপনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলমনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলোন। তিনি কায়দে আযম পুরস্কার, দায়েমি কমপ্লেকস শান্তি এওয়ার্ড এবং সর্বশেষ স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১০ সনে ৩রা মে ৯৪ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। |
COMMENTS