একটি মাত্র সেতু পাল্টে দিতে পারে নেত্রকোনা জেলা সদর বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ ও আটপাড়া উপজেলার অন্তত ৬০ গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা। তৈরি করতে প...
একটি মাত্র সেতু পাল্টে দিতে পারে নেত্রকোনা জেলা সদর বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ ও আটপাড়া উপজেলার অন্তত ৬০ গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা। তৈরি করতে পারে উন্নয়নের নতুন সেতুবন্ধন। সৃষ্টি করতে পারে ময়মনসিংহ, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলা গুলোর সাথে উন্নত ও সহজতর যোগাযোগ মাধ্যম।
সেতু নির্মাণ না হওয়ায় ওই এলাকার কয়েক ল মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বারহাট্টা ও নেত্রকোনা সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী ধনাই নদীর সাহতা ঘাটে একটি সেতু তৈরি হলে বদলে যাবে ৩ উপজেলার ৬০ গ্রামের মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা। এখানে সেতু স্থাপিত হলে তাদের স্বল্প খরচ ও অল্প সময়ে জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ সহজতর হবে। এ এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ধনাই নদীতে সেতু স্থাপন। বরাবরই এ দাবি উপেতি হয়ে আসছে। গত বছর এ সেতু নির্মাণের প্রকল্প সরকারী ভাবে অনুমোদন পেয়েছে। বর্তমানে সেতুটি স্থাপনের জন্য স্পটের দুই তীরের সয়েল টেস্ট সম্পন্ন হলেও কোন কার্যক্রম এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি।
সওজ চালিত কোনো ফেরিও এখানে চালু নেই। একমাত্র কাঠের তৈরি ছোট নৌকা দিয়ে ভিড়ের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ধনাই নদী পার হন দুই তীরের অসংখ্য যাত্রী। একটি সেতুর ওপর নির্ভর করথে অপার সম্ভাবনা। ভিড়ের সময় মালামালসহ যাত্রীদের অনেকণ দাঁড়িয়ে ফেরির জন্য অপো করতে হয়। পারাপারের উন্নত ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন অসংখ্য শিশু, শিার্থী ও গ্রামবাসী ঝুঁকিপূর্ণভাবে খেয়া নৌকায় পার হচ্ছেন। নদীর সাহতা গ্রামে এলাকার একমাত্র উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কেজি স্কুলে আসার জন্য ওপারের শিার্থীদের বাধ্য হয়েই নদী পার হয়ে আসতে হয়। ধনাই নদীর তীরে সাহতা বাজার। ওপার থেকে বাজারে আসতে নদী পারাপারে বিড়ম্বনায় পড়ের অসংখ্য ব্যবসায়ী। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারের শত শত ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতা সহ অনেক মালামাল নদীর ওপার থেকে আসে।
দারুণ সাহতা গ্রামের কৃষক আব্দুল উদ্দিন ও সাহতা গ্রামের শিক আমিরুল ইসলাম জানান, র্দীঘদিন ধরে আমরা ধনাই নদী পারাপারে এ দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। তারা আরো বলেন, বর্ষা মৌসুমে পানি এসে নদীর প্রস্থ বেড়ে গেলে এ চিত্র আরো ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
সেতু নির্মানে গুরুত্ব প্রসঙ্গে বারাহাট্টা উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল কবীর খোকন বলেন, এলাকার জনগণের প্রাণের দাবি ধনাই নদীর সেতু। এতে করে নদীর দুই পাড়ের ৬০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াতে বেশ উপকৃত হবে। এলাকার ব্যবসায় বাণিজ্যের উন্নয়নে এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।
সাহতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমির আজম খান চন্দন বলেন, সেতুটি ছাড়া এ এলাকার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য উপজেলা ও জেলা সদরে পৌঁছানো সহ ক্রয়-বিক্রয় অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়েছে। যার প্রভাব পড়ছে গোটা এলাকার অর্থনীতির উপর।

COMMENTS