চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার গহীন পাহাড়ে সম্প্রতি গড়ে তোলা দুইটি বাংকার এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আবিস্কার করে। স্থানীয় কৃষকদের দেয়...
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার গহীন পাহাড়ে সম্প্রতি গড়ে তোলা দুইটি বাংকার এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আবিস্কার করে। স্থানীয় কৃষকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এই ভয়াবহ ব্যাংকার তথা দূর্গ নিয়ে এলাকাবাসী উদ্বিগ্নতা ও আতংকিত হবার মতো তথ্য প্রদান করে। মীরসরাই পৌরসভার দÿিন তালবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক নুরম্নল হক প্রকাশ মিয়ন (৪৮) এবং মিয়া ধন (৫০) এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর নুরম্নন নবী, এবং অপর সমাজকর্মী নুর মোহাম্মদ সহ দূর্গের লোকেশান জানা দুই কৃষক সহ এলাকাবাসীকে নিয়ে মীরসরাই পৌরসভার দÿিন তালবাড়ীয়া রেল লাইন পেরিয়ে পাহাড়ী অঞ্চলে প্রবেশ করে প্রায় দুই কিলোমিটার ভেতর গিয়ে দেখা যায় সেখানে সম্প্রতি গড়ে তোলা হয়েছে দুটি বিম্ময়কর দূর্গ।
পাহাড়ী জঙ্গলময় গহীনে একজন মানুষ অনায়াসে ঢুকতে পারে এরকম সূড়ঙ্গ মুখ তৈরী করে ভেতরে তৈরি করা হয়েছে ব্যাংকার। চাষী মিয়াধন সুড়ঙ্গ মুখে ঢুকে টর্চ লাইট দিয়ে এর ভেতরে ১৫-২০ হাত পর্যন্ত্ম সূড়ঙ্গ পথের অস্ত্মিত্ব দেখতে পায়। সূড়ঙ্গ পথের দুটি করে মুখ রয়েছে। ভেতরে গড়ে তোলা দূর্গের পরিধী কতো বড়ো তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে একটি দূর্গের একাংশের ভেতর বসে সিগারেট ও আবুল বিড়ি, পানীয় টাইগার ও পেয়ারার খোসা দেখা যায়। আগন্তুকরা ভয়ে ভেতরে ঢোকার সাহস করছে না।
এই দুটি দূর্গের মধ্যে অনুসন্ধানী এই দল সরেজমিনে মঙ্গলবার পরিদর্শন করে বদরঘোনা টিলার দূর্গটি। অপর দূর্গটি হলো এর আরো গহীনে মন্দিরা টিলায়। সেই পাহাড়ের দূর্গটি করাকালে রাতে যে জেনারেটর ব্যবহার করা হয়েছে তার চিহ্র এখনো বিদ্যমান রয়েছে বলেন জানান স্থানীয় কৃষক শফিকুল ইসলাম। কৃষক নুরম্নল হক মিয়ন বলে আরো প্রায় এক মাস পূর্বে এখানে পাহাড়ের নিচের জমিতে চাষ করতে আসার পর পাশের পাহাড়ে খুড়িয়ে তোলা নতুন মাটির স্তুপ দেখতে পেয়ে সেখানে গিয়ে এই সূড়ঙ্গের সন্ধান পেয়ে আঁৎকে থাকি। এরপর অপর কৃষক মিয়াধন সহ আসেপাশের লোকজনকে বিষয়টি দেখান। কিন্তু ভয়ে ভয়ে ব্যাপকভাবে কাউকে জানায় নি বলে তারা।
উক্ত দূর্গের প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পথিমধ্যের পূর্ব তালবাড়ীয়ার আব্দুল হাদী, বিবি খাদিজা ও রহিমা আক্তার বলে এই দূর্গের খবর পেয়ে সম্প্রতি এলাকার সকলে চরম আতংকে আছে। গভীর রাতে এখানে নির্জন পথ দিয়ে অনেককে মোবাইলে কথা বলে বলে হাটতে দেখা যায়। তখন ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হয় না। এলাকাবাসী এই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের জোর পদÿেপ প্রয়োজন বলে মনে করছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে পৌরকাউন্সিলর নুরম্নন নবী ও নুর মোহাম্মদ মন্থব্য করেন বলেন এই দূর্গ কোন অসৎ উদ্যেশ্যেই করা হয়েছে। নইলে লোক চÿুর অন্ত্মরালে বনের ভেতর সূড়ঙ্গ করার মানে কি ? বিষয়টি সংবাদপত্রের মাধ্যমে সর্বমহলে জানা দরকার নইলে এর থেকে ভয়াবহ বিভিন্ন ঘটনার অবতারনা হতে পারে বলে মন্থব্য করেন।
এই বিষয়ে মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঘটনাটি আমি অবহিত ছিলাম না। এখন থেকেই আমরা সকল পদÿেপ গ্রহন করছি। খুব শীঘ্রই বাংকারের রহস্য উদঘাটন করা হবে।
COMMENTS